মাউস কি ?


এটি একটি ইনপুট ডিভাইস, স্ক্রীন এ cursen এর Position ঠিক করতে ব্যবহৃত হয় । মাউস এর মাঝখানে একটি বল থাকে , তার দুই পাশে দুটি বোতাম আছে - (1 ) left ( 2 ) Right


মাউস হল কম্পিউটারের একটি ইনপুট ডিভাইস। এটির সাহায্যে পয়েন্টার করে কম্পিউটারকে ইনপুট দেওয়া হয়। এই জন্য মাউসের অপর নাম পয়েন্টের ডিভাইস। কম্পিউটারে কোন আইটেম বেছে নিতে এবং কোন নির্দিষ্ট ফাইলকে খুলতে এবং বন্ধ করতে মাউসের ব্যবহার করা হয়।



মাউস এর সাহায্যে কোন ইউজার কম্পিউটারকে বিভিন্ন কাজ করবার নির্দেশ দিয়ে থাকে। এবং কম্পিউটারের যে কোন জায়গায়, পয়েন্ট করে পৌঁছানোর জন্য মাউসের ব্যবহার করা হয়।



মাউসের সাথে একটি কেবল যুক্ত করা থাকে এবং ক্যাবলের অপর প্রান্তে একটি ইউএসবি পোর্ট দেওয়া থাকে। যেই port টি কম্পিউটারে insert করলে, মাউস কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট হয়ে যায়। এবং একটি মাউসে দুটি সুইচ (left 3 right) এবং দুটি সুইচ এর মাঝখানে একটি চাকা থাকে। কম্পিউটারে লেফট এবং রাইট ক্লিক করে কাজ করবার জন্য, সুইচ দুটি ব্যবহার করা হয়। এবং চাকাটির সাহায্যে, কোন নির্দিষ্ট পেজকে scroll করা হয়। এইজন্য চাকাটিকে scroll button ও বলা হয়।



মাউস কে আবিষ্কার করেন ?


১৯৬৮ সালে Douglas C.

Engelbart মাউস আবিষ্কার করেন। পেশায় তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একজন সৈনিক ছিলেন।



মাউস পয়েন্টার কাকে বলে?


মাউস ব্যাবহার করার সময়, Mouse Cursor টি কম্পিউটার স্ক্রিন এ দেখা যায়। এই cursor টি নির্দিষ্ট অংশের কাজ করার সময় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং নির্দিষ্ট জায়গায় পয়েন্ট করা হয়। এই Cursor টির অপর নাম হলো মাউস পয়েন্টার। যেহেতু cursor এর সাহায্যে, পয়েন্ট করা হয় তাই এটিকে পয়েন্টার বলে।


মাউস কত প্রকার ও কি কি ?


মাউস পাঁচ প্রকারের। সেগুলি হল -


1.Mechanical Mouse


2.Optical Mouse


3.Wireless Mouse


4.Trackball Mouse


5.Stylus Mouse




Mechanical Mouse (মেকানিক্যাল মাউস) 


 ১৯৭২ সালে এই মাউস তৈরি করা হয়। শুধুমাত্র একটি বলের মাধ্যমে এই মাউস ব্যবহার করা হতো। মাউসের মাঝখানের নিচে একটিমাত্র বল থাকতো, এবং সেই বলটিকে উপর-নিচে, ডাইনে-বাঁয়ে ঘুরিয়ে কাজ করা হতো। এইজন্য মেকানিক্যাল মাউসকে, বল মাউস ও বলা হয়।



Optical Mouse (অপটিক্যাল মাউস) 


এই ধরনের মাউসে কোন বল থাকে না। বলের জায়গায় শুধুমাত্র একটি বাল্ব ব্যবহার করা হয়। সেই বাল্বটিকে এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে, কম্পিউটারে পয়েন্ট করে, ইনপুট দেওয়া হয়।




যে বাল্বটি ব্যবহার করা হয় সেটি মাউসের একদম নিচের মাঝখানে থাকে। মানুষটিকে এদিক-ওদিক করা মাত্র লাইটটিও এদিক ওদিক সরে যায়। যার ফলে খুব সহজে কম্পিউটারে পয়েন্ট করা যায়। এই ধরনের মানুষের একটি কেবল থাকে যেটির এক প্রান্তে মাউস এবং অন্য প্রান্ত কম্পিউটারে প্রবেশ করানো হয়। আজকের দিনে যে সমস্ত মাউস ব্যবহৃত হয়, তাদের মধ্যে অপটিক্যাল মাউস এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা সব থেকে বেশি।



Wireless Mouse (ওয়্যারলেস মাউস)


তার ছাড়া যে মাউস ব্যবহার করা হয় তাকে, Wireless Mouse বলে। এই ধরনের মাউস Radiofrequency টেকনিকের উপর তৈরি করে, কম্পিউটারের সাথে কানেকশন তৈরি করা হয়।


এই ধরনের মাউস ব্যবহার করার জন্য Transmitter ও Receiver এর প্রয়োজন হয়। Transmitter টি মাউসের মধ্যেই লাগানো থাকে এবং Receiver টি আলাদা করে কম্পিউটারে লাগাতে হয়।


এটি অপটিক্যাল মাউস এর মতই কাজ করে। শুধু দুটির মধ্যে পার্থক্য হল একটিতে cable থাকে এবং অপরটি Wireless I


Trackball Mouse (ট্র্যাকবল মাউস)


এটির কাজকর্ম অপটিক্যাল মাউসের মতোই। এই ধরনের মানুষের একটি বল লাগানো থাকে। এবং আঙুলের সাহায্যে, বলটি এদিক ওদিক ঘুরিয়ে মাউসটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

এই ধরনের মানুষ তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণ না হওয়ার কারণে, কাজ করতে সময় বেশি লাগে।


Stylus Mouse (স্টিলুস মাউস)


এই ধরনের মাউস কতকটা পেন এর মত দেখতে। এবং এই মাউসে একটি চাকা লাগানো থাকে। টাচস্ক্রিন ডিভাইসে এই ধরনের মাউস বেশি ব্যবহৃত হয়।


মাউস এর ব্যবহার কেনো করা হয়


• কম্পিউটারে কোন পেজ কে স্কল করবার জন্য


• কম্পিউটারের কোন ফাইলকে সিলেক্ট করবার জন্য


• কম্পিউটারের কোন ফাইলকে কপি এবং পেস্ট করার জন্য


•কোন ফাইলকে ট্রান্সফার করার জন্য

 নতুন উইন্ডো খোলার জন্য 

 •নির্দিষ্ট জায়গায় পয়েন্ট করার জন্য


নতুন অ্যাপ্লিকেশন এবং গেম খোলার জন্য


•কোন ডকুমেন্ট সেভ করার জন্য


নতুন ডকুমেন্ট তৈরি করার জন্য।


মাউস ব্যবহারের নিয়ম


মাউস ব্যবহার করার জন্য, প্রথমে মাউসটির port টি কম্পিউটারের usb পোর্ট এর মধ্যে প্রবেশ করান। যার ফলে মাউসটি কম্পিউটারের সাথে, কানেকশন তৈরি করতে পারবে।


কানেকশন তৈরি করা হয়ে গেলে, মানুষটিকে এদিক-ওদিক সরিয়ে, কম্পিউটারের নির্দিষ্ট জায়গায় পয়েন্ট করুন।


পয়েন্ট করার পর লেফট এবং রাইট ক্লিক এর সাহায্যে নির্দিষ্ট ফাইলটি খুলে নিন। এবং scroll বাটন এর সাহায্যে কোন পেজ এর উপর থেকে নিচে পর্যন্ত এরপর আপনি মাউসের সাহায্যে নিজের ইচ্ছে মত scroll করুন।

কাজ করতে পারেন।