কম্পিউটার ব্যবহার বা পরিচালনার পূর্বে কিছু সাবধান বাণী যা পালন করা অত্যাবশ্যক
Computer ব্যবহার বা পরিচালনার পূর্বে কিছু সাবধান বাণী যা পালন করা অত্যাবশ্যক
১. কম্পিউটারের ধারে কাছে ধোয়া বা ঐ ধরণের কিছুর প্রবেশ বন্দ করতে হবে। কারণ এগুলো হার্ডডিস্কে মারাত্মক কূফল বয়ে আনতে পারে।
২. কম্পিউটারকে সরাসরি সূর্যের আলো কিংবা আদ্র আবহাওয়া থেকে দুরে রাখতে হবে।সাধারণত: এসি রুম হলে ভাল হয়।অভাবে ঘরের মধ্যে যেন কখনো ভেজা আবহাওয়া না থাকে এবং ঘরটি মোটামুটি ঠান্ডা থাকে।
৩. দেওয়াল ঘেসে কখনই কম্পিউটারকে রাখা যাবে না। প্রতিটি কম্পিউটারের মধ্যে নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। দেওয়াল ঘেসে রাখলে সে ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হয়। এছাড়াও দেওয়াল থেকে চুন, রং ইত্যাদি খসে কম্পিউটারের মধ্যে প্রবেশ করলে computer নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৪. কম্পিউটার চালু করার আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে এর সাথে লাগানো তারগুলো ঠিকঠাক লাগানো আছে কিনা। কোন তার ঢিলা থাকলে স্পার্ক হয়ে কম্পিউটার ডিভাইস নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৫. কম্পিউটারে বিদ্যুৎ সংযোগ অবশ্যই ভোল্ট ষ্টাবিলাইজার মাধ্যম হতে হবে।কারণ আমাদেশে বিদ্যুতের উঠা-নামা যে দ্রুত গতিতে হয় তাতে কম্পিউটার হঠাৎকরে খুব বেশী ভোল্টেজ চলে আসতে পারে। এতে কম্পিউটারের নাজুক জিনিষগুলো পুড়ে যেতে পারে।
৬. ডিস্ক ড্রাইভ এর লাইটজ্বলা অবস্থায় কখনোই ডিস্ক বের করা যাবে না।করলে ডিস্ক ড্রাইভ এর রিডার হেড নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৭. কম্পিউটারের সিগন্যাল বাতি(লাল এন্টিগেটর বাল্ব) মিট মিট করে জ্বলতে থাকলে বুঝতে হবে কম্পিউটার কোন না কোন কাজ করছে। এই অবস্থায় কম্পিউটারের সুইচ সরাসরি বন্ধ করা যাবে না। এতে হার্ডডিস্ক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
৮. কম্পিউটারের Harddisk কখনই ফরমেট করা উচিৎ নয়।
৯. কম্পিউটারের কাজ করার সময় অস্থির হয়ে কিছু করা যাবে না। এমন অনেক কাজ আছে যা সম্পাদন করতে কম্পিউটার কিছুটা সময় নিতে পরে। অস্থির হয়ে কিছু করলে কম্পিউটারের স্বাভাবিক কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। ফলে কম্পিউটারের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
১০. কম্পিউটার কীবোর্ড একাট প্রয়োজনীয় অংশ। এই কীবোর্ডের বোতামগুলো খুবই স্পর্শকাতর। খুব বেশী জোরে চাপদিয়ে অপারেট করা উচিৎ নয়। কীবোর্ডের কাছাকাছি কোন পাণীয় দ্রব্য বা তরল পদার্থরাখা যাবে না।
১১. কোন একটি প্রোগ্রামে কাজ করার সময় সেই প্রোগ্রাম বন্ধ না করে সরাসরি সুইচ টিপে কম্পিউটার বন্ধ করা যাবে না। কম্পিউটার বন্ধ করতে হলে পর্যায়ক্রমিক ভাবে সব প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করে কম্পিউটারের নির্ধারিত শাটডাউন পদ্ধতিতে বন্ধ করতে হবে।
0 Comments